[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এক বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ

লাশ | প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় মাসুদপুর সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত ও শরীর ঝলসে যাওয়া লাশ উদ্ধার করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে উদ্ধার করা লাশটি বর্তমানে হঠাৎপাড়া গ্রামের একটি আমবাগানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। নিহত শফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সেরাজুল ইসলামের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় সীমান্তবর্তী পাকা ইউপির বাতাসার মোড় এলাকায় পদ্মা নদীর তীর থেকে শফিকুলের লাশটি উদ্ধার করে আত্মীয়স্বজনেরা বাড়ি নিয়ে আসছিলেন। পথে তারাপুর এলাকায় বিজিবি লাশটি নিজেদের হেফাজতে নেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে মারা গেছেন শফিকুল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বলেন, লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার অপেক্ষায় রয়েছে। কীভাবে তিনি নিহত হয়েছেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়ছে। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ। ওপারে খোঁজ নেওয়া হলে বিএসএফ জানায়, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শফিকুল ইসলাম পদ্মা নদীতে মাছ ধরার পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে শফিকুল ও সেলিম (৩৫) নামের আরেক বাংলাদেশি নদীপথে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যান। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা। পরে আজ শফিকুলের মরদেহ পাওয়া যায়। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সেলিম। তিনি একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম মর্তুজার ছেলে।

নিহত শফিকুলের স্ত্রীর বড় ভাই মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহা. সমির উদ্দীন বলেন, নির্যাতনেই মৃত্যু হয়েছে শফিকুল ইসলামের। তাঁর শরীর ঝলসানো ছিল। অনেকগুলো ফোসকা রয়েছে। এগুলো অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে পড়া ফোসকার মতো। এ ছাড়া তাঁর অনেকগুলো দাঁত ভাঙা ছিল। গলা দিয়ে রক্ত পড়ার চিহ্ন রয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন