প্রতিনিধি রাজশাহী

বৃষ্টির কারণে যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে পরিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহীতে গতকাল শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। কর্মদিবসের শুরুতে বৃষ্টিতে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এবার আষাঢ়ে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েছে। তবে আষাঢ়ের শেষ দিনে সবচেয়ে বেশি ৯১ মিলিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাত হয়। শ্রাবণেও সেই বৃষ্টি প্রায় প্রতিদিনই অব্যাহত আছে। গতকাল দিনের কিছু সময় বৃষ্টি হয়েছে। তবে রাত ১০টার পর থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। সেই বৃষ্টি সারা রাত অব্যাহত ছিল। ভোর থেকে মুষলধারে না হলেও ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, রাতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সকালের দিকেও তা অব্যাহত আছে। তবে পরিমাণ কিছুটা কমেছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টি হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সকালের বৃষ্টিতে নগরের মানুষ বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বের হলেও রাস্তায় যানবাহনের সংকট ছিল। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও অনেক পরীক্ষার্থী সকাল ৯টার পরও গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিনোদপুর এলাকায় একদল পরীক্ষার্থী অপেক্ষা করছিলেন। পর্যাপ্ত অটোরিকশা না থাকায় তারা উঠতে পারছিলেন না। পরীক্ষার্থী রায়হান হোসেন বলেন, ‘আমার পরীক্ষা সকাল ১০টায়, কিন্তু এখনো গাড়ি পাচ্ছি না। অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।’ আরেক পরীক্ষার্থী নাফিউল ইসলাম বলেন, অটোরিকশার ভাড়া অনেক বেশি নিচ্ছে। যেখানে ১৫ টাকা লাগার কথা, সেখানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা চাচ্ছে।

শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, বিভিন্ন পেশার মানুষও ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাজশাহী আদালতে যাওয়ার জন্য এক দম্পতি রাস্তায় গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা বলেন, এভাবে প্রতিদিন বৃষ্টি হলে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে।

শ্রমজীবী মানুষের কষ্টও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিনোদপুর বাজার এলাকায় রাজমিস্ত্রি শ্রমিকেরা সকাল ৯টার মধ্যেই সাধারণত কাজ পেয়ে যান। কিন্তু আজ সকাল সাড়ে ৯টায়ও অনেকে কাজের অপেক্ষায় ছিলেন। শ্রমিক হালিম মিয়া বলেন, বৃষ্টি হলে ভবনের কাজ বন্ধ থাকে, ঢালাই দেওয়া যায় না।