মঞ্চ ৭১ এর অনুষ্ঠানে হামলা ও আটকের ঘটনায় প্রগতিশীল শিক্ষকদের নিন্দা
| বিবৃতি | প্রতীকী ছবি |
নতুন সংগঠন ‘মঞ্চ ৭১’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান, দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমহানি, বীর সেনানীদের আত্মত্যাগ এবং কোটি মানুষের সংগ্রামের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীন বাংলাদেশ। সেই রক্তে কেনা সংবিধান আজ ক্ষতবিক্ষত।'
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, শিক্ষক-সাংবাদিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিনিধিদের ওপর ধারাবাহিকভাবে মব তৈরি করে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হচ্ছে। ফলে দেশের সর্বস্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধ্বংস ও ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা চলছে।
শিক্ষকরা আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক চলছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাধীনতার অন্যতম স্থপতি ড. কামাল হোসেন। আয়োজক ছিলেন মঞ্চ ৭১-এর প্রতিষ্ঠাতা জেড আই খান পান্না। ওই বৈঠক চলাকালে সুপরিকল্পিতভাবে উগ্র মব সৃষ্টি করে লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, অধ্যাপক মেসবাহ কামালসহ প্রায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়।
তারা মনে করেন, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক অবমাননাকর বক্তব্যের সঙ্গেই এই ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। শিক্ষকদের ভাষায়, 'এটি কেবল ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়, বরং জাতির ইতিহাস, আত্মপরিচয় ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত।'
বিবৃতিতে বলা হয়, 'স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা রক্ষা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার যেকোনো প্রয়াস আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। আটক সবার দ্রুত ও শর্তহীন মুক্তি চাই।'
এ বিবৃতিতে অধ্যাপক এম অহিদুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন, নিম চন্দ্র ভৌমিক, মো. আখতারুল ইসলাম, জিনাত হুদা ও মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ আড়াই শতাধিক শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন