প্রতিনিধি কুমিল্লা

হাতকড়া | প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ শনিবার ঢাকার বনশ্রী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান আজ বেলা দুইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিন খুনের ঘটনায় ছয়জনকে ঢাকার বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত বিকেল ৫টায় ঢাকার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানান তিনি। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদেরও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পর গতকাল মধ্যরাতে থানায় মামলা হয়। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে, অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন খলিলুর রহমান ওরফে জুয়েলের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭)। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গতকাল রাত ৯টার দিকে নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। রাত ১২টার দিকে সেটি মামলা হিসেবে নেয় পুলিশ। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে। এ ছাড়া মামলায় ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাচ্চু মিয়া এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী বাছির উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে।