সংবাদদাতা সিরাজগঞ্জ

কারখানার পেছনের ডোবায় লাশ পাওয়া যাওয়ায় বিক্ষুব্ধ লোকজন কারখানায় ভাঙচুর করেন। শুক্রবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে নিখোঁজের দুই দিন পর একটি ডোবা থেকে শামীম শেখ (২৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা একটার দিকে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কুটিরচর গ্রামে একটি কারখানার পেছনের ডোবা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শামীম শেখ কুটিরচর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনার পর এলাকায় লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় কয়েক শ লোক জড়ো হয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই কারখানার লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। পরে কারখানার আশপাশে ভাঙচুর চালানো হয় এবং কিছু অংশে অগ্নিসংযোগও করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শামীম বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ দুপুরে ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কুটিরচর গ্রামে একটি কারখানার পেছনের একটি ডোবা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় শামীমের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করে এবং স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।

নিহতের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। ওর কোনো শত্রুও ছিল না। কারা কী কারণে তাকে এমনভাবে হত্যা করল, বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন কারখানার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কামারখন্দ থানার ওসি আবদুল লতিফ  বলেন, লাশটি ডোবার পানিতে ডুবে থাকায় দ্রুত পচন ধরে। গলায় গামছা প্যাঁচানো লাশটির বাঁ হাতের বগলের নিচে ও বাঁ বাহুতে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। লাশটি উদ্ধারের পর বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।