[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জাতিসংঘ কার্যালয় স্থাপন স্বাধীনতার পরিপন্থী: জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বাদ জুমা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নেতারা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের চুক্তির প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নেতারা বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন স্থাপনের ফলে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষ এ দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন হতে দেবে না।

বিক্ষোভ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার হলো অস্থায়ী সরকার। এই সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া না করে, পরামর্শ না করে দেশবিরোধী এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

জমিয়ত মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ইতিহাস পক্ষপাতিত্বের ইতিহাস, পশ্চিমা মডেলের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। ফিলিস্তিন ও কলম্বিয়ায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় থাকলেও সেগুলো কী ভূমিকা পালন করছে, এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। একই সঙ্গে ভারত ও চীনের উইঘুরে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চললেও সেখানে কেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন নেই, সেই প্রশ্নও তোলেন জমিয়ত মহাসচিব।

মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ‘বাংলাদেশে এই কার্যালয় প্রতিষ্ঠার এত দরদ উতলে পড়ল কেন? কেন...এটা দরদ নয়, আন্তরিকতা নয়; এটা আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।’

সরকারের উদ্দেশে জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ‘খবরদার, খবরদার, সাবধান। পার্বত্য অঞ্চলকে আগামীর বাংলাদেশে খ্রিষ্টান রাজ্য বানানোর কোনো ফাঁদে পা দেবেন না। এমন কোনো ফাঁদে পা দিয়ে থাকলে একাত্তরের, চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে উঠবে আরেকবার। অনতিবিলম্বে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের চুক্তি বাতিল করতে হবে।’

মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা বাংলাদেশে ভিনদেশি এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করে, তাঁদের বিরুদ্ধে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের আন্দোলন চলবে। এ সময় তিনি আগামী ৭ আগস্ট এই চুক্তি বাতিলের দাবিতে জেলায় জেলায় জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এরপর বায়তুল মোকাররম থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন