প্রতিনিধি কুমিল্লা
![]() |
শাহ পরান | ছবি: সংগৃহীত |
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ‘নেপথ্যের’ ব্যক্তি শাহ পরানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শাহ পরান ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফজর আলীর আপন ছোট ভাই।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বুড়িচং এলাকা থেকে শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন শুক্রবার ঢাকায় র্যাব-১১-এর মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়। পরে সন্ধ্যায় শাহ পরানকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীন বলেন, শাহ পরানকে নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাঁকে রিমান্ডে নিতে আগামীকাল রোববার আদালতে আবেদন করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মমিনুল হক শুনানি শেষে ২৮ জুন গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামি—মোহাম্মদ আলী ওরফে সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ শনিবার দুপুরে তাঁদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুরাদনগর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে এসআই রুহুল আমীন বলেন, ‘আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করায় চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।’
এদিকে পাশবিক নির্যাতনের মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলী এখনো কুমিল্লা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন পিটিয়ে তাঁর হাত-পা ভেঙে দেন। পুলিশ ২৯ জুন ভোরে তাঁকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁকে আদালতে হাজির করার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, চিকিৎসক ছাড়পত্র দিলেই তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২৯ জুন নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল। নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
এসআই রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে যাঁদের শনাক্ত করেছি, তাঁরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের অভিযান চলছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সবাই আইনের আওতায় আসবে।’