পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক

ধর্ষণ | প্রতীকী ছবি

ধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তরুণীর অভিযোগ, চেতনানাশক খাইয়ে প্রথমবার ধর্ষণের পর সেই ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় একটি মামলা করেন তিনি।

ওই মামলায় আসামিরা হলেন আতাউর রহমান, নয়ন হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সালমা বেগম। তাঁদের মধ্যে শুধু সালমাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, সালমা বেগম তাঁর পরিচিত। দুই মাস আগে গল্প করার জন্য তাঁকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন সালমা। এ সময় তাঁকে ঝালমুড়ি খেতে দেন সালমা। ঝালমুড়ি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আতাউর রহমান নামের এক মাদক ব্যবসায়ী তখন তরুণীকে ধর্ষণ করেন। আতাউর গোপনে নিজের মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ঘটনাটি বাইরে জানালে ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তরুণীর বাবাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এই হুমকি দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি ঘটনাটি কাউকে জানাতে পারেননি।

ওই তরুণী বলেন, ‘ব্ল্যাকমেইল করে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। এ কাজে সালমা বেগম ও তাঁর স্বামী নয়ন হোসেন জড়িত। আমি সবার বিচার চাই।’

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচবিবি থানার ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, প্রধান আসামি আতাউর রহমান ও নয়ন হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।