প্রতিনিধি রাউজান
![]() |
চট্টগ্রামে রাউজানে সংঘর্ষ, গোলাগুলির পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উত্তেজনা থামেনি। দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারকে পদ স্থগিত হওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে সংঘর্ষের ঘটনায় গিয়াস কাদেরকে দায়ী করেছেন গোলাম আকবরের অনুসারীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজানের সত্তারহাট এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গিয়াস ও আকবরের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ছররা গুলিতে আহত হন গোলাম আকবর খন্দকার নিজেও। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় রাউজান থানায় কোনো পক্ষ মামলা করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোলাম আকবর খন্দকারকে রাউজানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গিয়াসের অনুসারীরা। গতকাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবু জাফর চৌধুরী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল হুদার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয় রাউজান সদর মুন্সিরঘাটা থেকে। মিছিলটি চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়ক হয় জলিল নগর বাসস্টেশন চত্বরে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে পুনরায় মিছিলটি মুন্সিরঘাটা দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ করেন।
![]() |
চট্টগ্রাম নগরের নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের সংবাদ সম্মেলন। বিকেলে | ছবি: আয়োজকদের পাঠানো |
এদিকে নগরের নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হামলার ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা। এতে অভিযোগ করা হয়, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী–সমর্থিত ৭০-৮০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় গোলাম আকবরকে গুলি করা হয়। তাঁদের ৩০-৪০ কর্মী হামলায় আহত হন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন খান প্রমুখ।
ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপর পক্ষকে দোষারোপ করে স্ট্যাটাস ও ছবি ভিডিও শেয়ার করছেন বিএনপির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এতে পাল্টা উত্তেজনা ও পুনরায় সহিংস ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
রাউজানের সাধারণ বাসিন্দারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে দলের দুই নেতার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করছেন। তাঁদের দাবি, এসব হানাহানি বন্ধ করে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে জনসাধারণ প্রতিবাদ গড়ে তুলবে।