সংবাদদাতা নওগাঁ
নওগাঁয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধান ও চালের অবৈধ মজুদ ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন চালকল ও অটো রাইস মিলের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা খাদ্য বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা সদরের হাপানিয়া, মহাদেবপুরের চৌমাশিয়া ও সরস্বতীপুর এলাকায় এই অভিযান চলে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, ধান ও চালের অবৈধ মজুদ, বস্তায় চালের ধরন, উৎপাদনকারীর নাম ও মূল্য উল্লেখ না করার মতো অনিয়ম ধরা পড়ে। মোট ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মহাদেবপুরের জিহাদ ও লাইলি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা করে, রাকিবকে দুই লাখ টাকা, মিলন ট্রেডার্স ও কুলসুমকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং এসিআই ফুডসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া শহরের টিকে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজকেও ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রুবেল আহমেদ বলেন, 'চালের বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিতভাবে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজ যেসব প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
রুবেল আহমেদ বলেন, 'চালের বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিতভাবে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজ যেসব প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
ফরহাদ খন্দকার জানান, 'খাদ্য আইনের একাধিক ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রয়োজন হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যেত। তবে বাজারে মজুদ চাল দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অনিয়ম ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'