পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক

হাতকড়া | প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় হাজেরা খাতুন (৭) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কুটিরচর গ্রামে সৎমায়ের ঘরের ভেতরের একটি বড় বালতি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

হাজেরা কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা হারুন অর রশীদ পাবনার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ঘটনার পর শিশুটির সৎমা রুবি খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ, নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাজেরার মা সংসার ছেড়ে চলে গেলে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী রুবি খাতুনের ঘরে তিন বছর বয়সী যমজ দুই ছেলেসন্তান আছে। হাজেরা দাদা-দাদি ও সৎমায়ের সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকত। দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে হাজেরা সৎমায়ের ঘরে যায়। এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় ঘরের ভেতর একটি বড় বালতির মধ্যে বস্তাবন্দী অবস্থায় হাজেরার নিথর দেহ পাওয়া যায়।

কামারখন্দ থানার ওসি আবদুল লতিফ বলেন, লাশটি উদ্ধার করে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না, তবে মুখমণ্ডল কালচে হয়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। সৎমাকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।