{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

রাজশাহী আদালত চত্বরে নারী লাঞ্ছনার অভিযোগে কাজি গ্রেপ্তার

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি রাজশাহী

গ্রেপ্তার | প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে নারীকে লাঞ্ছনা করার অভিযোগে নিকাহ রেজিস্টার (কাজি) মোকাদ্দিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় র‍্যাব রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের ডিঙ্গোডোবা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ শুক্রবার র‍্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুই কাজি (নিকাহ রেজিস্ট্রার) মোকাদ্দিম হোসেনের প্রতারণায় মোহরানার টাকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন এক নারী। বিষয়টি নিয়ে আদালত চত্বরে সম্প্রতি ওই নারী দুই কাজির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কাজি দুজন সম্পর্কে আপন দুই ভাই। তাঁরা ওই নারীকে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় ১৪ জুলাই প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘রাজশাহীর আদালত চত্বরে দুই কাজির বিরুদ্ধে নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

১৪ জুলাই দুপুরের দিকে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার আমলি আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর বয়স প্রায় ৩৫। বাড়ি রাজশাহী মহানগরে। অভিযুক্ত দুই কাজি হলেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোস্তফা হোসেন ওরফে ভিক্টর এবং তাঁর ছোট ভাই একই উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোকাদ্দেম হোসেন ওরফে শাওন।

অভিযোগ আছে, দুই ভাই প্রতারক চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভুয়া রেজিস্ট্রার বুকে বিয়ে নিবন্ধন করে দেন। ফলে তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া কাবিননামা দিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন না অনেকে। ওই দুই ভাই মোহনপুর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকলেও রাজশাহীর আদালত চত্বরে ঘোরাফেরা করেন। শহরে নিকাহ রেজিস্ট্রার মোকাদ্দেম হোসেনের ব্যক্তিগত চেম্বারও আছে। সেখানে বিয়ের নামে প্রতারণা করার কারণে গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে আদালত চত্বরে ওই নারীর সঙ্গে নিকাহ রেজিস্ট্রার দুই ভাইয়ের কথা-কাটাকাটি হচ্ছিল। একপর্যায়ে রেগে গিয়ে ওই নারী কাজি নিকাহ রেজিস্ট্রার মোকাদ্দেম হোসেনকে লাথি মারেন। এ সময় মোকাদ্দেম হোসেনও ওই নারীর পেটে লাথি মারেন। বড় ভাই মোস্তফা হোসেন পাশে থাকলেও ছোট ভাই মোকাদ্দেমকে বাধা দেননি। এ সময় ওই নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার–চেঁচামেচি করতে থাকেন। তখন অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যান। এ সময় সবার সামনে ওই নারীকে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন নিকাহ রেজিস্ট্রার মোকাদ্দেম হোসেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়। দুই পক্ষ দুই দিকে চলে যায়।

ওই নারী সেদিন অভিযোগ করেন, ওই দুই ভাই প্রতারক চক্রের সদস্য। তাঁরা অনেক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেন। সম্প্রতি তাঁর (ওই নারী) বিয়ে হয়েছিল। বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তিনি দেনমোহরের ৩৮ লাখ টাকা পাবেন। বিষয়টি আপস করার জন্য কাজি দুই ভাই চাপ দিচ্ছেন। আপস করে মোটা অঙ্কের টাকা তাঁরা হাতিয়ে নিতে চান। এতে রাজি না হলে তাঁকে মোকাদ্দেম হোসেন লাথি মারেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন