প্রতিনিধি চট্টগ্রাম

সড়কে জমে থাকা পানিতে নেমে বিকল হয়ে যায় একটি অটোরিকশার ইঞ্জিন। অটোরিকশাটি যাত্রীর সহযোগিতায় টেনে নিয়ে যাচ্ছেন চালক। আজ সকাল নয়টায় নগরের ইস্পাহানি সি গেট এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

অতি ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলিতে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমেছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পানির কারণে যানবাহন আটকে থাকায় রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী ও যাত্রীরা।

গতকাল শনিবার বিকেল থেকে চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। থেমে থেমে এই বৃষ্টি চলে রাতভর। আজ রোববার সকাল থেকেও টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নগরের নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস। আজ সকাল নয়টায় নগরের ইস্পাহানি সি গেট এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

সরেজমিন দেখা যায়, নগরের চকবাজারের আধুনিক চক সুপার মার্কেটের পাশের সড়কে কোমরসমান পানি জমেছে। একই অবস্থা হয়েছে চকবাজার কাঁচাবাজারে পাশের সড়কেও। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, সকাল ৯টার পর থেকে তাঁদের এলাকায় পানি উঠতে শুরু করে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে কোমরসমান পানি জমে যায়।

নগরের কাতালগঞ্জের বৌদ্ধ মন্দিরের সামনের সড়ক ও আবাসিক এলাকায়ও পানি জমে রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যান চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। বিকল্প সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।

জরুরি প্রয়োজনে চকবাজার থেকে মুরাদপুর যাচ্ছিলেন আহমেদুল হক নামের এক চাকরিজীবী। তিনি বলেন, কাতালগঞ্জের সামনের সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে তাঁদের বহনকারী টেম্পো ওদিকে যেতে পারেনি। পরে চকবাজার হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনের সড়ক দিয়ে মুরাদপুর এসেছে।

সড়কে পানি জমে থাকায় কর্মস্থলসহ গন্তব্যে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হয় পথচারীদের। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় নগরের জিইসি মোড় থেকে তোলা  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নগরের কৈবল্যধামের ইস্পাহানি সি গেট এলাকায়ও সরেজমিন হাঁটুসমান পানি জমে থাকতে দেখা যায়। জলাবদ্ধতায় এলাকাটির সড়কে গাড়ি চলাচল কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। নগরে অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা জিইসি মোড়েও হাঁটুসমান পানি উঠেছে। পানিতে বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে পথচারীদের। নগরের মোহাম্মদপুর এলাকায়ও জলাবদ্ধতা হয়েছে।

কোনো স্থানে ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি বলা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মোহাম্মদ ঈসমাইল ভূঁইয়া  বলেন, গতকাল বেলা৩টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে।