নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
আইন ও সালিশ কেন্দ্র | গ্রাফিক্স পদ্মা ট্রিবিউন |
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। আজ রোববার আসকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনা শুধু একটি ভয়াবহ অপরাধ নয়, বরং নারীর প্রতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও বিদ্বেষের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ, যা বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মৌলিক ভিত্তিকে লঙ্ঘন করে। পাশাপাশি এ ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আসকের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই অপরাধের পেছনে কেবল ব্যক্তি নয়, বরং সরকারের নির্লিপ্ততা ও দীর্ঘদিন ধরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে ব্যর্থতা কাজ করছে। একজন নারী তাঁর নিজ ঘরে, নিজ পরিচয়ে সুরক্ষিত না থাকলে, তা রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা ও নিরাপত্তাহীনতা নির্দেশ করে। অতীতে নারীদের ওপর হামলা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিলম্বিত বা অপরাধীদের রক্ষা করার যে প্রবণতা দেখা গেছে, এ ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা বলে বিবেচিত হতে পারে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে ঘটনার যথাযথ ও দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিবৃতিতে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, ক্ষতিপূরণ, প্রয়োজনীয় আইনি, মানসিক ও স্বাস্থ্যসহায়তা প্রদানের দাবি জানায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র মনে করে, এ ধরনের পৈশাচিক ঘটনার যথাযথ ও কঠোর বিচার না হলে নারীর মর্যাদা, অধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন ভেঙে পড়বে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রকে অবশ্যই কঠোর বার্তা দিতে হবে যে এমন বর্বরতার কোনো স্থান এই দেশে নেই। আসক রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায়, দায়সারা নয় বরং ঘটনার প্রতিটি দিক স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।