[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি হবিগঞ্জ

ধর্ষণের প্রতীকী ছবি এ আই দিয়ে তৈরি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকালে এমন অভিযোগে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। এ মামলায় বাসটির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সাব্বির মিয়া (২৫)। তিনি বাসটির চালক ও নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণে আরেক অভিযুক্ত ও চালকের সহকারী লিটন মিয়া (২৬) পলাতক। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।

এর আগে গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ভোক্তভোগী ওই ছাত্রী হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আটকের পর পুলিশের হেফাজতে বাসচালক সাব্বির | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন ওই ছাত্রী। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে বাসে করে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জে তাঁর নামার কথা ছিল। তবে তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন; জেগে দেখেন শায়েস্তাগঞ্জ অতিক্রম করেছেন। পরে রাতে তিনি মহাসড়কটির শেরপুর এলাকায় নেমে পড়েন।

সূত্রগুলো আরও জানায়, একপর্যায়ে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের শেরপুর-নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে চলাচলকারী একটি লোকাল বাস পেয়ে এতে উঠে পড়েন। বাসটি রাত ১০টার দিকে আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ওই ছাত্রীকে তখন একা পেয়ে চলন্ত বাসেই ধর্ষণ করেন চালক সাব্বির ও তাঁর সহকারী লিটন। একপর্যায়ে বাসের ভেতর থেকে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। সড়কের এনাতাবাদ এলাকায় এলাকাবাসী বাসটিকে থামান। এ সময় তাঁদের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানান ওই ছাত্রী। এ পর্যায়ে লিটন পালিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হন সাব্বির। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং সাব্বিরকে গতকাল রাতেই নবীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন।

নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় আজ সকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাঁকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে; পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন