[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ দাবির অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি নাটোর

গুরুদাসপুর থানার এসআই আবু জাফর মৃধার বিরুদ্ধে মামলা থেকে এক প্রবাসীকে বাদ দেওয়ার আশ্বাসে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে ছবি: সংগৃহীত 

একটি মারামারির মামলা থেকে এক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীকে বাদ দেওয়ার আশ্বাসে নাটোরের গুরুদাসপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মৃধা পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই প্রবাসীর পক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গতকাল সোমবার রাতে মুঠোফোনে ঘুষ দাবি করেন এসআই আবু জাফর।

ভুক্তভোগী রাসেল হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তবে গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজারে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গোলাম রাব্বি নামের এক ব্যক্তি ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।

গোলাম রাব্বি জানান, তাঁর মালিক রাসেল হোসাইন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার সময় ১৫ মে চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় ইটভাটা ব্যবসায়ী ফরিদ মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লাকে কে বা কারা মারধর করে। এ ঘটনায় পরের দিন ফরিদ মোল্লা প্রবাসী রাসেল হোসাইনকে হুকুমদাতা হিসেবে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার এসআই আবু জাফর মৃধা। প্রায়ই তিনি রাসেল হোসাইনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাঁকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে তাঁর (গোলাম রাব্বি) কাছে ঘুষ দাবি করেন।

গোলাম রাব্বি আরও বলেন, সর্বশেষ গতকাল সোমবার রাতে পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাঁর (গোলাম রাব্বির) মুঠোফোনে ফোন করে মালিক রাসেল হোসাইনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আশ্বাসে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এর মধ্যে এক লাখ টাকা ঈদের আগেই দিতে হবে বলে সতর্ক করে দেন এসআই। মুঠোফোনের এই কথা রেকর্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই এসআইয়ের শাস্তি দাবি করে আজ নাটোরের পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গোলাম রাব্বি।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী রাসেল হোসাইন মুঠোফোনে জানান, তিনি প্রবাসে থাকলেও দেশের প্রতি ভালোবাসার কারণে চাঁচকৈড় বাজারে দুটি ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় চাঁচকৈড় বাজারের একটি মারামারির ঘটনায় এক ইট ব্যবসায়ী তাঁকে হুকুমদাতা আসামি করে মামলা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা তা না করে তাঁকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। এর প্রমাণও রয়েছে।

তবে এসআই আবু জাফর মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। প্রবাসীর ব্যবস্থাপকের কাছে টাকা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই এ বিষয়ে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন