নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ৭ ফেব্রুয়ারী সকালেও শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা চলছে। বুধবার রাত থেকে বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়। ৭ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ছয়টার ছবি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া ও সেই সময় প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে লন্ডনের এক সংলাপে প্রশ্নের মুখে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
চারদিনের সরকারি সফরে লন্ডনে অবস্থানরত ইউনূস বুধবার অংশ নেন চ্যাথাম হাউজের রয়্যাল ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের এক সংলাপে। সেখানে এক প্রবাসী সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ধ্বংস ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
সাংবাদিক বলেন, 'আপনি বলেছিলেন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করাই আপনার বড় চ্যালেঞ্জ। অথচ ৩২ নম্বর বাড়ি ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ভাঙা হলো, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো—সেই সময় প্রশাসন নিশ্চুপ ছিল।'
জবাবে ইউনূস বলেন, 'এখন পরিস্থিতি শান্ত, শৃঙ্খলায় এসেছে। আমরা নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগোচ্ছি।'
তিনি বলেন, '৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতিকে শৃঙ্খলায় আনা ছিল আমাদের বড় কাজ। তখনকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই শিশুদের গুলি করেছে—মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল, পুলিশ রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছিল। একটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।'
![]() |
যুক্তরাজ্য সফররত ইউনূস বুধবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজের রয়্যাল ইন্সটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রধান উপদেষ্টা জানান, 'যারা নৃশংসতায় যুক্ত ছিল, তাদের শনাক্ত করে চাকরি থেকে সরানো হয়েছে। বিচার চলছে। সব কিছু ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে, অপরাধীরা চিহ্নিত।'
তিনি বলেন, 'আমরা সব সমস্যার সমাধান করেছি এমন নয়। তবে পুলিশ এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছে।'
ঐক্য প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আমাদের এক নম্বর লক্ষ্য। আমরা একসঙ্গে বসে আলোচনা করছি। একটি 'জুলাই চার্টার' তৈরি হচ্ছে। আশা করছি জুলাই মাসেই সব দলের উপস্থিতিতে তা ঘোষণা করা যাবে।'
তার ভাষায়, 'এই চার্টারই হবে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় ঐক্যের প্রতীক।'