প্রতিনিধি রাজশাহী
![]() |
রাশেদুল ইসলাম | ছবি: সংগৃহীত |
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম আট দিন আগে জেলা কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটিকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, দলের সেবায় কাজ করা তার জন্য গৌরবের বিষয় ছিল। জেলা ইউনিট পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ। তবে বর্তমান সময়ে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন। তিনি বলেছেন, এ সিদ্ধান্তটি এনসিপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও সংগঠনের উন্নতির স্বার্থে নিয়েছেন।
দলের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা সমন্বয় কমিটি গঠনের পর থেকে নানা দ্বন্দ্ব ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। জেলা ও মহানগর সমন্বয় কমিটির মধ্যে দূরত্ব থাকার ফলে দলের কার্যক্রমেও প্রভাব পড়েছে। সম্প্রতি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা ও মহানগর কমিটির ৪৩ পদধারীর মধ্যে মাত্র ২৭ জন অংশগ্রহণ করেন।
গত বুধবার রাতে জেলা সমন্বয় কমিটির নেতাদের এক বৈঠকে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই সভায় প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের সামনে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমের ওপর আক্রমণ চালান। তাদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণ ছিল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ। এ ঘটনায় ফিরোজ আলম হাসপাতালে ভর্তি হন।
ঘটনার পর কেন্দ্রীয় কমিটি নাহিদুল ইসলাম সাজুকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। তাকে তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না।
নাহিদুল ইসলাম সাজু একটি ভিডিওবার্তায় দাবি করেছেন, এনসিপির জেলা কমিটিতে কিছু নেতাই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, এনসিপি জেলায় অবাঞ্ছিত হয়ে পড়বে।’
রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি, তা গ্রহণ হয়েছে কি না জানি না। আমি কখনো রাজনীতিতে ছিলাম না, তাই মনে হয় এত বড় দায়িত্ব আমার জন্য নয়। তবে এখনো আমি এনসিপির সঙ্গে আছি এবং দলের মঙ্গলই চাই। ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুধবার রাতের সংঘর্ষই আমার পদত্যাগের প্রধান কারণ নয়, তবে তার প্রভাব অবশ্যই পড়েছে।’
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন রাজশাহী এসে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে এনসিপির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সবাই মিলেমিশে কাজ করবে। রাশেদুলের পদত্যাগপত্র এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে।’