ক্যানসারে আক্রান্ত বুয়েট শিক্ষার্থী আমিতকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
প্রতিনিধি পাবনা
![]() |
এহসানুল কবির আমিত | ছবি: সংগৃহীত |
শরীর ভালো যাচ্ছিল না। দৌড়াতে হচ্ছিল এ হাসপাতাল থেকে সে হাসপাতাল। চলছিল চিকিৎসা। এর পরেও হার মানেননি ছেলেটি। চালিয়ে যান লেখাপড়া। কঠিন লড়াইয়ের মধ্যেও এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় ৮১তম স্থান অর্জন করে ভর্তি হয়েছেন।
হার না–মানা এই ছেলেটির নাম এহসানুল কবির ওরফে অমিত (২০)। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পশ্চিম টেংরি কাচারীপাড়া মহল্লার হুমায়ুন কবীর ও রুনু কবীর দম্পতির ছেলে। বাবা আগে ব্যবসা করতেন, এখন তেমন কিছু করছেন না। মা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে এহসানুল ছোট। ইক্ষু গবেষণা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ–৫ পান এহসানুল। শিক্ষা বোর্ডের বৃত্তি পেয়েছেন। এর মধ্যেই ২০২২ সালে তাঁর রক্তে হজকিন লিম্ফোমা ক্যানসার ধরা পড়ে।
পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যানসার ধরা পড়ার পরই তাঁরা এহসানুলের চিকিৎসা শুরু করেন। ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে টানা দুই বছর কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এতে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন এহসানুল, পরে আবার অসুস্থ হতে থাকেন। গত এপ্রিলে সর্বশেষ পরীক্ষায় দেখা যায় তাঁর ক্যানসার আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ছড়িয়ে পড়েছে পেটের লসিকাগ্রন্থিতে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁকে আর কেমো দেওয়া যাচ্ছে না। ছেলেটিকে বাঁচাতে হলে দ্রুত অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে।
এহসানুলের বাবা হুমায়ুন কবীর (লিটন) জানান, ইতিমধ্যে ছেলের চিকিৎসায় তিনি জমিজমা বিক্রি করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এখন আর তাঁর বিক্রি করার মতো কিছুই নেই। কিন্তু ছেলের চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৫৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকা জোগাড় করতে এখন তিনি মানুষের দারে দারে ঘুরছেন। কীভাবে টাকা জোগাড় হবে বুঝতে পারছেন না। দিনে দিনে ছেলেও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত ছেলের চিকিৎসা দরকার। তাই তিনি সবার কাছে ছেলের প্রাণ রক্ষায় সহযোগিতা আবেদন করছেন।
এহসানুলের
মা রুনু কবীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলেটার দিকে তাকাতে পারি না, কষ্টে
বুকটা ফেটে যায়। আমার ছেলেটা বাঁচতে চায়, পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হতে চায়।
আমি আর ছেলের প্রাণ রক্ষায় সবার দোয়া ও সহযোগিতা দরখাস্ত করছি।’
ইক্ষু
গবেষণা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাসানুজ্জামান বলেন,
‘অমিত (এহসানুল কবির) আমাদের স্কুলের সবচেয়ে মেধাবী ও ভালো ছেলে। রোগে
আক্রান্ত হওয়ার পরও ওর সাহস, অধ্যবসায় ও মানসিক শক্তি আমাদের অনুপ্রাণিত
করেছে। এমন প্রতিভাবান একজন ছাত্রকে বাঁচাতে সবার এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি
মনে করি। আমরা চেষ্টা করছি, সমাজের বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে এই মেধাবী মুখ
আবার সুস্থ হয়ে উঠবে এটাই প্রত্যাশা।’
আমিতকে সহযোগিতা করতে চাইলে
মোছা. রুবিনা ইয়াসমিন, ব্যাংক হিসাব নম্বর: ৪১১১১৩৪০৮৯২৩৮, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ঈশ্বরদী শাখা, পাবনা। সাহায্য পাঠানো যাবে মুঠোফোন নম্বরেও।
বিকাশ নম্বর: ০১৭৬৩৩৯১১১২ (এহসানুলের বোন)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন