নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

সারোয়ার তুষার | ফাইল ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীকে অশোভন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি তুলেছেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর।

সোমবার সকালে নিজের সামাজিক মাধ্যমে নির্ঝর এক নারীর সঙ্গে সারোয়ার তুষারের কথোপকথনের অংশবিশেষ প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, কথোপকথনটি প্রায় ৪৭ মিনিটের হলেও তার মূল অংশ ৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে সংক্ষেপ করে তুলে ধরা হয়েছে। তবে ফাঁস হওয়া অডিওর কণ্ঠস্বর আসলে সারোয়ার তুষারের কি না, সে বিষয়ে পদ্মা ট্রিবিউন নিশ্চিত হতে পারেনি।

অডিওর সংলাপে শোনা যায়, সারোয়ার তুষারের কণ্ঠসদৃশ একজন পুরুষ গভীর রাতে এক নারী সহকর্মীর কাছে ছবি চান এবং সাক্ষাৎ করার আগ্রহ জানান। নারীটি এতে বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, এমন আচরণ তার অপ্রত্যাশিত লেগেছে। যদিও পুরুষ কণ্ঠটি দাবি করেন, এতে তার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না এবং পরে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এই কথোপকথন থেকে বোঝা যায়, এটি গত রমজান মাসের কোনো এক সময়ের ঘটনা। সেখানে ইফতারের পর সাক্ষাৎ করার অনুরোধ করা হয়।

এই ঘটনায় জাওয়াদ নির্ঝর পরবর্তী একটি পোস্টে সারোয়ার তুষারকে জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। তিনি লেখেন, 'এই ব্যক্তিকে কীভাবে ছাত্রদের নেতা বানানো হলো? একজন পরিচিত যৌন হয়রানিকারীকে দলে জায়গা দেওয়া কতটা যৌক্তিক? নারীরা কি আদৌ এই দলে নিরাপদ?' 

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ নামের সংগঠনের অন্যতম সংগঠক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে নারী সদস্য বীথি সপ্তর্ষি যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এরপর সংগঠনটি একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা তাসলিমার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া (পরে তার স্থানে দায়িত্ব নেন সাদিয়া আরমান) এবং গবেষক দিলশানা পারুল।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৬ মে ড. শহিদুল আলম এক সামাজিক মাধ্যমে জানান, সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নিষ্পত্তি হয়নি।