প্রতিনিধি রংপুর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির আরও এক সংগঠক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে ওই নেতা সংগঠনের ভেতরে চাঁদাবাজি, দালালদের দাপট ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো ব্যবস্থা না নেওয়াসহ তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন।

পদত্যাগ করা ওই নেতার নাম তৌফিক আহমেদ। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা কমিটির সংগঠক ছিলেন। গতকাল রোববার রাতে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তৌফিক। আজ সোমবার সকালে পদত্যাগের ঘোষণার বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তৌফিক আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বৈছাআর (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) নিয়ম অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে সদস্যপদ গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু এরপরও কিছু রাজনৈতিক দলের গোপন কর্মী; আওয়ামীপন্থী গুপ্তচর ও সাবেক গণ অধিকার পরিষদের সিন্ডিকেট রংপুরের কমিটি দখল করে নেয়। এইভাবে সাধারণ ছাত্র–জনতার আন্দোলন একটি পকেট কমিটিতে রূপান্তরিত হয়।’

তৌফিক তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পেছনে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, সংগঠনের অভ্যন্তরে চাঁদাবাজ, দালালদের দাপট ও অপকর্মের বিরুদ্ধে শুরু থেকে কেন্দ্রীয় কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চরম নজরদারিহীনতাকে দায়ী করেন।

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তৌফিক লিখেছেন, ‘যাঁরা আন্দোলনের রক্ত দিয়ে কেনা ব্যানারকে মামলা–বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি অফিসে দালালি ও ক্ষমতা দখলের সিঁড়ি বানিয়েছে, তাঁদের বিচারও একদিন হবে ইনশা আল্লাহ। যাঁরা শহীদের রক্তকে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে; তাঁদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত জুলাই চলবে। আমরা জান দিবো, জুলাই দিবো না।’

তৌফিক আহমদের তোলা অভিযোগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ দাবি করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, এগুলোর ভিত্তি নেই। সংগঠনের ভেতরে কেউ অভিযোগ তোলেনি। অথচ পরিকল্পিতভাবে অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।

এর আগে ১৮ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ–বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ১৬ জন নেতা পদত্যাগ করেন।