প্রতিনিধি নড়াইল
![]() |
নড়াইলে বিএনপি নেতার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন। রোববার সন্ধ্যায় নড়াইলের কালিয়া প্রেসক্লাবে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নড়াইলের কালিয়ায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ সম্রাটের গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর ও মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সন্ধ্যায় কালিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আবদুল লতিফের পক্ষের নেতা–কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে তাঁর লোকজন এ হামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রোববার বিকেলে কালিয়া উপজেলার বেন্দারচর এলাকায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে ঢাকা থেকে কালিয়ায় আসছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ। দুপুরের দিকে কালিয়া উপজেলার চাপাইল সেতু এলাকায় পৌঁছালে তাঁকে বরণ করতে গাড়িবহর নিয়ে যান তাঁর অনুসারী উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, গাড়িবহরটি কালিয়ার দিকে আসার পথে যোগানিয়া এলাকায় পৌঁছালে জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নির্দেশে তাঁর লোকজন হামলা করেন। হামলা চালিয়ে আবদুল লতিফের ব্যবহৃত গাড়িসহ অন্তত ৪০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে আবদুল লতিফসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
![]() |
ভাঙচুরের পাশাপাশি একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘শনিবার খুলনায় বড় প্রোগ্রাম সেরে আমি ও আমার ভাইয়েরা ঢাকায় চলে আসি। রোববার দুপুরে ঘুম থেকে ওঠার পর শুনতে পাই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার নেতৃত্ব দেওয়া তো দূরের কথা, আমি বা আমার ভাইয়েরা কেউ জড়িত নই। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ।’
এ ঘটনায় দুপুরের পর থেকে কালিয়া উপজেলা শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তবে বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে নড়াইল জেলা পুলিশের মুখপাত্র পরিদর্শক মীর শরিফুল হক বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল চলছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।