প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম

বাংলাদেশ–ভারত সীমান্ত | ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট, বাবুরহাট ও কেদার সীমান্ত দিয়ে আরও ২৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার তিনটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওই ২৩ জনকে বাংলাদেশের ভেতরে পাঠানো হয়। পরে বিজিবি সদস্যরা তাঁদের আটক করে।

আটক ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁদের কেদার, সোনাহাট ও বাবুরহাট ক্যাম্পের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক।

এর আগে আজ ভোর সাড়ে চারটায় জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৪ জনকে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করে বিএসএফ। তবে এতে বাধা দেয় বিজিবি। ওই ১৪ জন সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছেন।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোর পাঁচটার দিকে বিএসএফ ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিনটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৩ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়। তাঁদের মধ্যে সোনাহাট সীমান্ত থেকে ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী, বাবুরহাট সীমান্ত দিয়ে ৬ জন পুরুষ ও ২ জন নারী এবং কচাকাটা থানার কেদার সীমান্ত দিয়ে ৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

লেফটেনেন্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক বলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিনটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৩ জনকে পুশইন করার ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁদের আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।