প্রতিনিধি বরিশাল

হাতকড়া | প্রতীকী ছবি

বরিশালে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগের এক নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় হাতেনাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের চকবাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিএনপির কর্মী। তবে বিএনপি বলছে, তাঁরা বিএনপির কেউ নন।

অপহরণের শিকার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে শাকিল বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সগির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শাকিলকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন বরিশাল নগরের বাজার রোড এলাকার জহিরুল ইসলাম ওরফে প্রিন্স, সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন ও সোলায়মান ওরফে সুমন। তাঁরা সবাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে নগরের চকবাজার এলাকা থেকে মোস্তাফিজুর রহমানকে জহিরুল, সাইফুল ও সোলায়মানসহ ৪০-৪৫ জন যুবক তুলে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে নগরের বাজার রোডের কাঠের গলি এলাকায় নিয়ে আটকে রাখেন। পরে অপহৃত মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোন দিয়ে তাঁর বড় ভাই হাফিজুর রহমানকে কল করেন অপহরণকারীরা। হাফিজুরের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তাঁরা।

হাফিজুর বিষয়টি নগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সবিস্তার জানান। পরে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ডিবি পুলিশের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বাজার রোডের কাঠের গলি থেকে শাকিলকে উদ্ধার ও অপহরণে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। আটক তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে থানাহাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।

বিষয়টি নজরে আনা হলে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তাঁরা বিএনপির কেউ নয়। আর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমানে বিএনপির কোনো কমিটি নেই। জাহিদুর বলেন, ‘নগরে একটি চক্র বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছে বলে আমরা জেনেছি। এসব কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কারও সঙ্গে এ ধরনের অপরাধ কেউ করার চেষ্টা করলে থানায় জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।’