প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 প্রতীকী ছবি |  এআই দিয়ে বানানো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় পুলিশের অভিযানে আটক যুবলীগের এক নেতা যুবদলের এক নেতার সহযোগিতায় পালিয়ে গেছেন। গত বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শনিবার সকালে মামলা করেছে। এ মামলায় যুবদলের ওই নেতাসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

যুবদলের ওই নেতার নাম মিজান মিয়া ওরফে মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। যুবলীগ নেতাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মিজানের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, জানতে চেয়ে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জেলা যুবদল। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে মিজানকে। আটকের পর পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া যুবলীগ নেতার নাম সোহাগ ইসলাম। তিনি একই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ উপজেলার বুধন্তি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা সোহাগ মিয়াকে আটক করে। আটকের পরপরই বুধন্তি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি পুলিশের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাসকে ধাক্কা দিয়ে সোহাগ মিয়াকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।

আজ সকালে এসআই সুমন চন্দ্র দাস বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় যুবলীগ নেতা সোহাগ ইসলাম (৩৫), যুবদল নেতা ‍মিজান মিয়া (৪২), কাপ্তান মিয়া (৩০) ও রোমান খানকে আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনার ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, একটি মুদিদোকানের এক কোনায় লাল রঙের শার্ট পড়ে যুবলীগের নেতা সোহাগ দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর ঠিক সামনে যুবদল নেতা মিজান, মিজানের সামনে উপজেলার ইসলামপুর ফাঁড়ির এসআই সুমন চন্দ্র দাস মুঠোফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছেন। এসআই সুমন চন্দ্রের পেছনে একজন, ডান দিকে আরেকজন যুবক এবং দোকানের ভেতরে দোকানি দাঁড়িয়ে আছেন। যুবদল নেতা মিজান কথা বলতে বলতে ধীরে ধীরে এসআই সুমন চন্দ্রের দিকে এগিয়ে যান। মিজান একপর্যায়ে নিজের শারীর দিয়ে এসআই সুমন চন্দ্র দাসকে পেছনের দিকে ঠেলে নিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যেই যুবলীগ নেতা দোকান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যান। এরপরই এসআইকে যুবলীগ নেতার পেছনে ছুটতে দেখা যায়।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে সংযোগ কেটে দেন যুবদল নেতা মিজান মিয়া। এরপর তাঁর দুটি মুঠোফোন নম্বরে একাধিবার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু ফোন রিসিভ করেননি মিজান।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।