নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
ইশরাক হোসেন | ফাইল ছবি |
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে চলছে টানা আন্দোলন। আজ সোমবার টানা ষষ্ঠ দিনের মতো নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁর সমর্থকেরা। এই আন্দোলন চলার মধ্যেই ইশরাক অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী ভূমিকা পালন করবে, তা ক্লিনকাট (পরিষ্কার) বুঝিয়ে দিল।’
যাঁরা নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে একটি দলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন, অবিলম্বে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক।
আজ সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ইশরাক হোসেন এ কথা লিখেছেন। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে ইশরাকের সমর্থকেরা আজ সকালেও নগর ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কারণেই আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও ইশরাক শপথ নিতে পারছেন না।
এই আন্দোলন প্রসঙ্গে দেওয়া স্ট্যাটাসে ইশরাক হোসেন লিখেছেন, ‘মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। অনেক সমালোচনা মাথা পেতে নিয়েছি, পিতা–মাতা তুলে গালিগালাজও চুপ করে সহ্য করে গিয়েছি। কারণ একটাই, এদের চেহারা উন্মোচন করতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটের অধিকারের স্বার্থে।’
‘কোনো কথা চলবে না, যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে নয়; বরং একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে’, এই দাবি জানিয়ে ইশরাক হোসেন আরও লিখেছেন, ‘এরা হাসিনার মতোই বিচারকদের হুমকি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছে। উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং আমলাতন্ত্রে হাসিনার দোসরদের সঙ্গে নিয়ে লম্বা কুচক্র পরিকল্পনা করছে। একদিন এদের সবার নাম–পরিচয় প্রকাশ পাবে। হাসিনারেও বলছিলাম, “কবরটা ঠিক করাই আছে, আল্লাহর হুকুম থাকলে সেখানেই হবে, ইনশা আল্লাহ।” লড়াই শেষ হয় নাই। হয় দাবি আদায় করব, না হয় আল্লাহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব। গণতন্ত্রের সঙ্গে, জনগণের ভোটের অধিকারের সঙ্গে একচুল ছাড় হবে না।’