প্রতিনিধি মাগুরা
![]() |
নিহত | প্রতীকী ছবি |
মাগুরার সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে হাসান শেখ (২২) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তাঁর বাবা ও দুই চাচা। গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান শেখ ওই গ্রামের নির্মাণশ্রমিক পাঞ্জু শেখের ছেলে। ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন হাসানের বাবা পাঞ্জু শেখ, চাচা মিজান শেখ ও শিপন শেখ। প্রথমে তাঁদের মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল রাতেই তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলম মোল্লার ঘরে উঁকি দেওয়ার অভিযোগে রিপন শেখ নামের একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। পরিবারের দাবি, রিপন মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর ভাই মিজান শেখ, শিপন শেখসহ স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আলম মোল্লার ছেলে আল আমিন মোল্লা (২৩) ঘর থেকে ছুরি এনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাসানসহ চারজনকে জখম করেন। তাঁদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক হাসান শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত তরুণের চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একদম তুচ্ছ কারণে এই হত্যাকাণ্ড। আমাদের এক মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইকে আটকে মারধর করছিল। আমরা তাঁকে উদ্ধার করতি গিছিলাম। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আমার ভাই ভাস্তেদের ওপর হামলা করা হয়। ছেলেটা আমাগের চোখের সামনে মরে গেল। কিছুই করতে পারলাম না।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘একজনের ঘরে উঁকি দেওয়ার অভিযোগ থেকে ঘটনার সূত্রপাত। যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা আহত ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকায় গেছেন। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’