[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে তিতুমীর কলেজের ১০–১৫ শিক্ষার্থী

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছয় শিক্ষার্থী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনের সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন | ছবি: আয়োজকদের সৌজন্যে

নতুন ও পুরোনো দুটি ছাত্র হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের ১০ থেকে ১৫ শিক্ষার্থী। পাশাপাশি হল চালু না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দেওয়ার দাবি তাঁদের।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছয় শিক্ষার্থী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনের সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে তাঁদের সঙ্গে অন্য শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।

এই শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, হলে তোলার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের একটি মৌখিক সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। সেই সাক্ষাৎকার অনুযায়ী হলে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই তালিকাও প্রকাশ করছে না।

পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী অবস্থান কর্মসূচি বেলা দুইটায় শুরুর কথা ছিল। তবে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, কর্মসূচি শুরুর আগে হল খুলে দেওয়ার বিষয়ে তাঁরা অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষের কাছ থেকে তাঁরা কোনো ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি পাননি।

শুরুতে আলী আহমেদ, বেলাল হোসেন, আল আমিন, মনসুর আহমেদ, নায়েক নূর মোহাম্মদ ও ফাহিম—এই ছয় শিক্ষার্থী প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তাঁদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নায়েক নূর মোহাম্মদ মুঠোফোনে বলেন, তিতুমীর কলেজের দুটি ছাত্র হল রয়েছে। এর একটি নতুন শহীদ মামুন হল। আরেকটি আক্কাসুর রহমান আঁখি হল। এই হল জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় থেকে বন্ধ রয়েছে। ওই সময় হলটি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের দখলে ছিল।

নায়েক নূর আরও বলেন, নতুন হলের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। শুধু বৈদ্যুতিক সংযোগ দিলেই হলটি শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া পুরোনো হলটিও বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ হল দুটি দ্রুত চালু করে দিতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের বাইরে বাসা–মেস ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে হল দুটি দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিতেই তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আর যত দিন হল চালু না হবে, তত দিন পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দেবে, এটা তাঁদের আরেকটি দাবি।

জানা যায়, কলেজটিতে ২৫ হাজারের মতো শিক্ষার্থী রয়েছেন। এখানে ছাত্রীদের জন্য তিনটি হল রয়েছে। ছেলেদের জন্য নতুন হলটি ১০ তলাবিশিষ্ট ও পুরোনো হলটি চারতলাবিশিষ্ট।

কলেজের অধ্যক্ষ ছদরুদ্দীন আহমদ বলেন, নতুন হলটিতে কিছু আসবাব দেওয়া হয়েছে মাত্র। এখনো বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ দেওয়া হয়নি। এই হলে প্রতিটি কক্ষে চারজন করে থাকলে ৪১০ জনের মতো ছাত্র থাকতে পারবে। আর পুরোনো হলটি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। দরজা, জানালা ও আসবাব বলতে গেলে কিছুই নেই। তবে এরই মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই জুনের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করবে। এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে।

বিকেল পাঁচটার পরে আরও কিছু শিক্ষার্থী ওই অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন