নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের লোগো | ছবি: অ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া |
সম্প্রতি পুলিশকে উদ্দেশ করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের দেওয়া এক বক্তব্যকে ‘হুমকি’এবং ফৌজদারি অপরাধ বলে মনে করছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
আজ শনিবার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২২ মে এক গণজমায়েতে নুরুল হক নুর বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুলিশ আমাদের গায়ে হাত দিলে ওই হাত আর আস্ত রাখব না। পরিষ্কার কথা, ওই যাত্রাবাড়ীতে যেমনিভাবে জনতা পুলিশকে মেরে ব্রিজে ঝুলিয়ে রেখেছিল, এই গণ অধিকার পরিষদের কোনো নেতা-কর্মীর গায়ে হাত তোলা হলে ওইভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতির এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি একধরনের হুমকি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ও কাম্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এ ধরনের হুমকি একটি ফৌজদারি অপরাধ।
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনী সর্বদা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে এ ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের পরিবর্তে গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায় অ্যাসোসিয়েশন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা বাংলাদেশ পুলিশ গত ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশবাসীর আস্থা অর্জনের মাধ্যমে অহর্নিশ কাজ করে চলেছে। অ্যাসোসিয়েশন মনে করে এ সময়ে বিশেষ কোনো মহলের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পুলিশের মনোবল ভাঙার মাধ্যমে বাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ রকম বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।’
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের বক্তব্য বিদ্বেষ ছড়িয়ে সামাজিক শান্তি নষ্ট করবে বলে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে।