নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের অবস্থান কর্মসূচির আগে বিক্ষোভ মিছিল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর অব্যাহতি পাওয়া এক উপদেষ্টার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস), আরেক উপদেষ্টার একজন সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক এক নেতাকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে সেগুনবাগিচায় দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন যুব অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবী, বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসান এবং এনসিপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দুদক। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি।
আশঙ্কা প্রকাশ করে স্মারকলিপিতে যুব অধিকার পরিষদ বলেছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে তদন্তের বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করা হতে পারে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
যুব অধিকার পরিষদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় তাঁরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি লিখিতভাবে জানানোর জন্য দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দাবি জানান।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সহসভাপতি রাহুল ইসলাম সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম ও অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
এর আগে অবস্থান কর্মসূচিতে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ বলেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া লোকেরা এখনো দুদকে রয়েছে। সবার আগে দুদক সংস্কার জরুরি। দুদক থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরাতে হবে।
আবু হানিফ বলেন, দুদক একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, অথচ এটি সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। দুদকের কাজ হচ্ছে দুর্নীতি দমনে কাজ করা, কিন্তু বিগত সময়ে অনেক দুদক কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। তাই দুদককে সংস্কার করে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।