প্রতিনিধি নরসিংদী

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার নরসিংদীর মনোহরদীর ছাদত আলী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যে ভোটের জন্য অনেক নেতা–কর্মী ক্রসফায়ারে জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, যে ভোটের জন্য এত রক্ত ঝরেছে, সে ভোট তো আমরা এখনো পেলাম না। ভোটের জন্যই তো এত লড়াই, এত সংগ্রাম। জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে, যে দলকে ইচ্ছা সে দলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে সরকারে বসাবে। কিন্তু সেটা এখনো কেন ফিরে আসছে না, সেটা নিয়ে এত গড়িমসি কেন?’

আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদীর মনোহরদীর ছাদত আলী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে গত ১৫ বছর অসংখ্য মামলায় রিমান্ডে ও কারাগারে থেকেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। ওই ত্যাগ স্বীকারের মধ্যে যে ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে, তার ওপরই জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘আপনারা সংস্কারের বিষয়ে বলছেন, আগে সংস্কার সম্পূর্ণ করবেন। কখন সম্পূর্ণ করবেন, কীভাবে সম্পূর্ণ করবেন। সংস্কার পদ্মার পানির মতো, বঙ্গোপসাগরের স্রোতের মতো চলমান। সময়ে সময়ে, যুগে যুগে যখন জনগণের প্রয়োজন, সে অনুযায়ী সংস্কারের স্রোত অব্যাহত থাকবে। সংস্কার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়।’ তিনি আরও বলেন, দেশে নির্বাচিত সরকার থাকলে যে কাজগুলো করতে পারত, সে কাজগুলো আটকে আছে। শেয়ারবাজার অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কোরবানির আগে মসলার দাম বেড়ে গেছে। জবাবদিহিমূলক সরকার এলে জনগণের এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হতো।

বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক–বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ও ইকবাল হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

টুর্নামেন্টের ফাইনালে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাতপাইকা ফুটবল একাদশ ও গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আলফাজ উদ্দিন মুক্তার ফাউন্ডেশন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলায় ২-০ গোলে সাতপাইকা ফুটবল একাদশ বিজয়ী হয়।