[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বিশ্ব শান্তির প্রত্যাশা বুদ্ধ পূর্ণিমায়

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

হিংসা, বিদ্বেষ দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধ যে অহিংসা ও শান্তির বাণী প্রচার করে গেছেন, তা অন্তরে ধারণ করে উদযাপিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা।

বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা এই পূর্ণিমা তিথিতে স্নান করে শুচিবস্ত্র ধারণ করছেন, মন্দিরে মন্দিরে চলছে বুদ্ধের বন্দনা। অর্চনার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ ও সমবেত প্রার্থনায় স্মরণ করা হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তককে।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো জানিয়েছেন বিশ্বের শতাধিক দেশের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে রোববার বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি। তিনি বলেন, 'এই বুদ্ধ পূর্ণিমায় আমরা জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করছি। আমরা পৃথিবীর শান্তি কামনা করছি।' 

রাজধানীতে বুদ্ধ পূর্ণিমার মূল আয়োজন হয় সবুজবাগের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে।

রোববার সকাল ৬টায় কীর্তন সহকারে প্রভাতফেরীর মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া নানা আচার আয়োজন চলবে দিনব্যাপী। 

বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ভোর থেকেই ভক্তরা জড়ো হন সবুজবাগের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে। সেখানে তারা অংশ নেন প্রভাতফেরী, প্রাতঃরাশ, বুদ্ধপূজা, সংঘদান ও ধর্মসভায়। দেশের সুখ সমৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা করা হয় সেখানে।

বৌদ্ধদের বিশ্বাস, খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এ দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি বোধিলাভ করেন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি নির্বাণ লাভ করেন।

সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়। তার আবির্ভাব, বোধি লাভ ও নির্বাণ- তিন ঘটনাই বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে ঘটেছিল বলে একে বলা হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা'।

বৌদ্ধ দর্শনের মূল লক্ষ্য সত্যকে উপলদ্ধি করে দুঃখমুক্তি। বুদ্ধের শিক্ষা- মানুষ কর্মের অধীন, জগতে কর্মই সব। যার যেমন কর্ম, তিনি ফলও পাবেন তেমন। এ দর্শনের মূলমন্ত্র- ‘সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু’, অর্থাৎ জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।

ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের মহাধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো বলেন, 'আমরা যদি লোভ সংবরণ করে অহিংসার চিন্তা মননে ধারণ করতে পারি তবেই পৃথিবীতে শান্তি বজায় থাকবে। বুদ্ধ যে অহিংসার বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন, তা আমাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে। তবেই বিশ্বে শান্তি বজায় থাকবে।'

দিনব্যাপী আয়োজনে রয়েছে পূজনীয় ভিক্ষুসংঘকে পিণ্ডদান, অতিথি আপ্যায়ন। এছাড়া বিকাল কাল ৫টায় হবে আলোচনা সভা। সন্ধ্যায় শীল গ্রহণ ও প্রদীপ পূজা এবং বুদ্ধ কীর্তনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে আয়োজন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন