[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সিরাজগঞ্জে বাড়ির ভেতর রহস্যময় গুপ্তস্থান, সুড়ঙ্গ পথে উদ্ধার দুইজন

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ

বাড়িটির গুপ্তস্থানের সন্ধান পাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেন। শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির ভেতরে গুপ্তস্থানের সন্ধান মিলেছে। সুড়ঙ্গ বানিয়ে ওই গুপ্তস্থান থেকে এক গৃহবধূ ও এক বৃদ্ধ বের হয়ে এসেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁরা বের হয়ে আসেন। উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারাম পূর্ব পাড়া গ্রামের বাড়িটিতে আজ শুক্রবার সকালে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কথিত এ গুপ্তস্থানে মানুষকে বন্দী করে চাঁদা আদায়, কিডনি বিক্রির হুমকি, জমি লিখে নেওয়াসহ নানা অপকর্ম পরিচালনা করা হতো বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন। এটি দেখতে হাজারও উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন।

উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর নাম শিল্পী খাতুন (৪৮), তিনি চান্দাইকোনা ইউনিয়নের লক্ষ্মী বিষ্ণুপ্রসাদ গ্রামের মুনসুর আলীর স্ত্রী এবং উদ্ধার বৃদ্ধ আবদুল জুব্বার (৭৫) একই ইউনিয়নের পূর্ব পাইকড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা চার-পাঁচ দিন কাঁচি দিয়ে মেঝে খুঁড়ে একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করে বের হন। এরপর তাঁরা পরিবার-পরিজনকে এ ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী শিল্পী খাতুন বলেন, ‘পাঁচ মাস ধরে বন্দী ছিলাম এখানে। এক মাস অন্য জায়গায় রেখেছিল। তবে কোথায় রেখেছিল, বলতে পারি না। মাঝেমধ্যে শরীরে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হতো। পল্লিচিকিৎসক আরাফাত, শরীফ মেম্বার, কামরুল ইসলাম, হাফিজুল, পান্নাসহ আরও কয়েকজন মুখোশ পরে এখানে আসত। বন্দিঘরে আমি ছাড়াও আবদুল জুব্বার নামের একজন ছিলেন।’

আবদুল জুব্বার অসুস্থ হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা গত বছরের ৮ নভেম্বর বিকেল থেকে নিখোঁজ হন। পরে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ১২ নভেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। তাতেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল গভীর রাতে বাবা ওই গুপ্তস্থান থেকে কৌশলে বের হয়ে বাড়ি এসেছেন। তিনি অসুস্থ, তাই আমরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বাড়ির মালিক সুমন সেখ নামের এক ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ভবনের নিচে বেশ কয়েকটি ছোট কক্ষ করে গুপ্তস্থান বানিয়েছেন পশ্চিম লক্ষ্মীকোলা গ্রামের পল্লিচিকিৎসক নাজমুল হোসেন তালুকদার ওরফে আরাফাত। তিনি জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদদাতা। বিক্ষুব্ধ লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই বাড়িতে আগুন দেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরাফাত নামের একজন পুলিশি হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন। রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বেলা পৌনে তিনটার দিকে বলেন, ‘সকাল থেকে এখনো ঘটনাস্থলেই আছি। নিখোঁজ দুই ব্যক্তির পরিবার থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন