[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

লাশ আটকে সম্পত্তির ভাগবাঁটোয়ারা স্ত্রী-সন্তানদের, দাফন হলো এক দিন পরে

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ

মাজেদ বিশ্বাসের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সালিস হয়। সোমবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বড় মরাপাগলা গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনের আগে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। সোমবার উপজেলার সুন্দরপুর ইউপির বড় মরাপাগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তির নাম মাজেদ বিশ্বাস (৫০)। তাঁর দুই পুলিশ সদস্য ছেলের বিরুদ্ধে সৎমা ও বোনদের বঞ্চিত করে বাবার সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে এ ঘটনা ঘটে। পরে গ্রাম্য সালিসে সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে বাড়িতে লাশ আনার ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।

ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাজেদ বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রীর ১০টি সন্তান ছিল। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। জীবিত সাত সন্তানের মধ্যে চার মেয়ে ও তিন ছেলে। বছর বিশেক আগে স্ত্রী মারা গেলে হামফুল বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এ সংসারে কোনো সন্তান হয়নি। হামফুল মাজেদের ছোট শিশুসন্তানদের আদরযত্নে বড় করেন। মাজেদের দুই ছেলে লতিফুর রহমান ও আবদুল জাব্বার পুলিশে চাকরি করেন। মাস ছয়েক আগে মাজেদ বিশ্বাস অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হলে লতিফুর ও জাব্বার চিকিৎসার কথা বলে বাবাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যান এবং বাবার সম্পত্তি নিজেদের ও এক ভাতিজার নামে লিখিয়ে নেন। এর মধ্যে ১৬ এপ্রিল মাজেদ বিশ্বাসের নামে একটি তালাকনামা উকিল নোটিশের মাধ্যমে হামফুল বেগমের কাছে পাঠানো হয়। হামফুল সেটি গ্রহণ করেননি। এ নিয়ে হামফুল বেগম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিলে আগামী ৫ মে গ্রাম্য সালিসের দিন নির্ধারণ হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজন বলেন, এর মধ্যে মাজেদ বিশ্বাস আবার অসুস্থ হলে লতিফুর ও জাব্বার তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। লাশ দাফনের জন্য তাঁর দুই ছেলে গ্রামের বাড়ি নিয়ে এলে মাজেদের স্ত্রী হামফুল বেগম স্বজন ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে দাফনে বাধা দেন। সোমবার সকাল ও বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দুই দফা গ্রাম্য সালিসে বসেন তিনজন ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। শেষে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সিদ্ধান্ত হয়, অংশীদারদের মধ্যে সম্পত্তির বণ্টন হবে। এরপর দাফন হয়। এই পুরো সময় লাশ ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে ছিল।

এ বিষয়ে জানতে মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে পুলিশের উপপরিদর্শক লতিফুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘ঘটনা শুনে পুলিশ টিম পাঠিয়েছিলাম। সালিসে মীমাংসা হয়ে লাশ দাফনের কথা জেনেছি।’ অভিযুক্ত দুই ছেলের পুলিশে চাকরির কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন