প্রতিনিধি দাউদকান্দি
![]() |
হামলা | প্রতীকী ছবি |
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ঘিরে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ১০ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একই ইউনিয়নের কাছারি বাজারসংলগ্ন গোমতী নদীর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় উল্লেখযোগ্য আহত ব্যক্তিরা হলেন নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি, বর্তমান আহ্বায়ক ও সভাপতি প্রার্থী জহিরুল ইসলাম (৫২), উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল রানা (৩০), জহিরুলের ভাগিনা কাউছার আহমেদ (৩৬), আল আমিন (৪২) প্রমুখ। রাসেল ছাড়া অন্যদের তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাসেলকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার
প্রসঙ্গে নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান,
নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে নেতা–কর্মীদের
সঙ্গে নিয়ে ট্রলারে রওনা দেন জহিরুল। আসমানিয়া বাজারসংলগ্ন ঘাটে পৌঁছালে
ট্রলারে থাকা নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালান উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি
ও একই ইউনিয়ন বিএনপি কমিটির সভাপতি প্রার্থী মাইন উদ্দিন খসরুর সমর্থকেরা।
জহিরুল
ইসলামের দাবি, তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা
চালান প্রতিপক্ষ সভাপতি প্রার্থী মাইন উদ্দিন ও তাঁর সমর্থকেরা। এ হামলার
বিচার চান তিনি।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাইন উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তবে সেটি বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তিতাস উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওসমান গনি ভূঁইয়াও এ হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানান তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ। তিনি বলেন, হামলার বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জেনেছেন।