[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

তালতলীতে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি বরগুনা

ধর্ষণ | প্রতীকী ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় প্রতিবেশী নারীর সহায়তায় এক কিশোরীকে (১৬) বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। ফলে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পাঁচ দিনেও কোনো মামলা হয়নি।

গত মঙ্গলবার রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল।

ওই কিশোরীর বাড়ি উপজেলার নিশানাবাড়ি ইউনিয়নের একটি গ্রামে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, প্রতিবেশী এক নারী তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয় ইব্রাহিম নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এর পরিপেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল রাতে ওই নারীর বাড়িতে কিশোরী ও তার মাকে ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় মায়ের অজান্তে কিশোরীকে বিভিন্নভাবে ফুঁসলিয়ে ইব্রাহিম নামের ওই যুবকের সঙ্গে মোটরসাইকেলে পাঠিয়ে দেন ওই নারী। ইব্রাহিম তাকে একটি মাছের ঘেরে নিয়ে যান। সেখানে ইব্রাহিমসহ তাঁর চার বন্ধু তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে সকালে ২০০ টাকা গাড়িভাড়া দিয়ে ওই কিশোরীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতেই থানায় জানান পরিবারের সদস্যরা। থানা থেকে বলা হয়, সকালে আসতে। কিশোরীর খোঁজ মিললে তাকে নিয়ে পরের দিন আবারও থানায় যায় ওই কিশোরীর পরিবার। পরে বিস্তারিত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। তবে এ ঘটনায় থানার ওসি মো. শাহজালাল মামলা না নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে ধর্ষণের আলামত সংরক্ষণ করে রাখতে বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইব্রাহিমের পুরো পরিচয় জানতে পারেনি ভুক্তভোগীর পরিবার। ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী ওই নারীও পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাকিল খান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়টি শুনে ওই মেয়ের পরিবারের সাথে আমিও থানায় যাই। তবে ওই ছেলের সঠিক পরিচয় না পেয়ে মামলা নেয়নি পুলিশ।’

জানতে চাইলে তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, ‘কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। নিখোঁজের বিষয়ে একটা তথ্য পেয়েছিলাম। পরে তাদের জিডি করার জন্য ছবিসহ আসতে বলেছিলাম।’ একজন জনপ্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি থানায় হাজির হলেও অভিযুক্তের সঠিক পরিচয় না পাওয়ায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমি মেয়েকে পেয়ে ইউপি সদস্য শাকিল খানসহ কয়েকবার থানায় যাই। মেয়ে বিস্তারিত ঘটনা পুলিশকে জানায়। তবে ওসি সাহেব কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমরা জিডি করতে চাইলেও নানা অজুহাত দেখায় ও ইব্রাহিমকে থানায় ডাকার কথা বলেন।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন