প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। সকালে নোয়াগড় গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই নেতার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার নোয়াগড় গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়।
জলসুখা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য আক্তার মিয়া এবং একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান মিয়ার লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৩০ জনকে হবিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আক্তার মিয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান মিয়ার লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আজ সকালে আক্তার পক্ষের একজনকে মারধর করেন শাজাহান পক্ষের লোকজন। এর জেরে উভয় পক্ষের লোকজন সকাল সাড়ে আটটার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে আক্তার মিয়া ও শাজাহান মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁদের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শামছুল আলম বলেন, গ্রামের দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে আধিপত্যের জেরে ওই সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এর সঙ্গে দলীয় কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির লোকজন এ সংঘর্ষে জড়াননি।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মাঈদুল হাছান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।