প্রতিনিধি নাটোর

প্রতীকী ছবি

নাটোরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের দায়ে মেহেদী হাসান (২৫) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামি মেহেদী হাসান গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা (পাঠানপাড়া) গ্রামের আবদুর রহিম শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, বিচারক আদালতে বসে শুরুতেই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ পড়ে আদালত জানান, আসামি মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ঘটনার তারিখ ও সময়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশও দেন আদালত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ফোন করে বাড়ির বাইরে ডেকে নেন মেহেদী হাসান। পরে বাঁশঝাড়ের ভেতরে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যান। স্বজনেরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনই ভুক্তভোগীর বাবা গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি আবদুল কাদের বলেন, গতকাল সোমবার মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে জামিনে থাকা আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ রায় ঘোষণা করে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।