প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কুয়েটে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোমবার রাতে কুয়েট উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি (কুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কুয়েট উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। সোমবার রাতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই কর্মসূচি থেকে কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগও দাবি করেন তাঁরা।

সংহতি সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ বলেন, ‘একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হচ্ছেন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর শুধু ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলাই নয়, আমরা পত্রিকা মারফত জেনেছি সেখানে ১০ রাউন্ডের বেশি গুলিও হয়েছিল। এই ধরনের পরিস্থিতিতেও ভিসি তাঁর শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান নাই।’

রেজওয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমরা ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকার) কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, যে বিশ্ববিদ্যালয় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের ভিসির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, যে বিশ্ববিদ্যালয় বিএনপি এবং দলীয় সংগঠন এনে হামলা করায়, তাদেরকে রেখে আপনারা একটি বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে চালাবেন?’  

ছাত্রদলকে ইঙ্গিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সরদার নাদিম বলেন, ‘গত ষোলো বছর আপনাদের আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হয়নি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুই মাসের আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।’

ছাত্রদল ‘নব্য ছাত্রলীগ’ হয়ে উঠছে কি না, সে প্রশ্ন তুলে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা দেখেছি ছাত্রলীগের সময় আমাদের ওপর হামলা হতো আবার আমাদের ওপরেই মামলা হতো। সেই কালচারই আমরা আবার দেখছি।’