প্রতিনিধি সরাইল
![]() |
লোডশেডিং | প্রতীকী ছবি |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামে টানা ১৮ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এসেছে। গতকাল সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে সরাইল সরকারি কলেজ–সংলগ্ন ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে যায়। এতে সরাইল সরকারি কলেজ, নাথপাড়া, দত্তপাড়া, সূত্রধরপাড়া, কর্মকারপাড়া ও ঘোষপাড়া বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। পরে ওই পাঁচ গ্রামে বিদ্যুৎ আসে গতকাল রাত সাড়ে ১১ টায়।
কালীকচ্ছ ইউনিয়নের নাথপাড়া, দত্তপাড়া, সূত্রধরপাড়া, কর্মকারপাড়া ও ঘোষপাড়া গ্রাম পাঁচটি পাশাপাশি অবস্থিত। আবার এই গ্রামগুলো সরাইল সদর ইউনিয়নঘেঁষা। এই পাঁচ গ্রামে পড়েছে স্থানীয় সরকারি কলেজ ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এখানে জনবসতি ছিল কম। প্রায় ৩০ বছর আগে এই নিরিবিলি এলাকার জন্য স্থাপন করা হয়েছিল মাত্র একটি ট্রান্সফরমার। বর্তমানে এই পাঁচ গ্রামের লোকসংখ্যা বেড়েছে। ছোট ছোট শিল্পকারখানাও গড়ে উঠেছে। ফলে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। তাই ৩০ বছরের পুরোনো ট্রান্সফরমারটি বাড়তি চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। কয়েক দিন পরপর এটি বিকল হয়ে পড়ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে পাঁচ গ্রামের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্রান্সফরমার একবার বিকল হলে তা মেরামত করতে দু-তিন দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আবার চাঁদা তুলে টাকাও দিতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
গতকাল ভোর থেকে বিদ্যুৎহীন হওয়ার পর ভোগান্তিতে পড়েন পাঁচ গ্রামের মানুষ। নাথপাড়ার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক আ ফ ম দেলোয়ার পাভেল বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকার ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়ে। কয়েক দিন পরপর এমনটি হয়ে আসছে। এলাকাবাসী চাঁদা তুলে মেরামতের পর আমরা বিদ্যুৎ পাই। একবার ট্রান্সফরমার বিকল হলে দু-তিন দিন অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় ভোগান্তির সীমা থাকে না। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।’
সূত্রধরপাড়ার বাসিন্দা দুলাল সূত্রধর বলেন, ‘আমরা খুব বিপদের মধ্যে আছি। এখানে বিদ্যুৎ গেলে আর আসে না। আমাদের পাড়ার ওপর দিয়ে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে। ছয় মাস ধরে বসতবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের পানিতে একটি তার ঝুলে আছে। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলছি, কিন্তু প্রতিকার পাচ্ছি না।’
ঘোষপাড়ার বাসিন্দা স্থানীয় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল বলেন, ‘এখানে কয়েক দিন পরপর বিদ্যুৎ–সংকট দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।’
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) সরাইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ বলেন, গতকাল ভোরে বজ্রপাতে ট্রান্সফরমারটি বিকল হয়ে পড়েছিল। এটি প্রতিস্থাপন করতে সময় লেগেছে। এ জন্য এমনটি হয়েছে। ওই পাঁচ গ্রামের জন্য আরেকটি ট্রান্সফরমার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।