[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পাবনার শিশুটিকে হত্যা ও মুখ ঝলসে দেওয়ার আগে ধর্ষণ করা হয়: পুলিশ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি পাবনা

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন  ওসি মঞ্জুরুল আলম  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় আট বছর বয়সী মেয়েশিশুকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চার কিশোর ও এক তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারের পর পাঁচজনকেই আজ রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) পাঠানো হচ্ছে।

১৪ এপ্রিল নিখোঁজ হওয়া শিশুটির মরদেহ পরদিন বাড়ির পাশের ভুট্টাখেত থেকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মুখ ঝলসানো ছিল। এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।

পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মরদেহ উদ্ধারের পর নাটোর ও পাবনার পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নামে। চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলমের নেতৃত্বে কাজ শুরু করে। এরপর চাটমোহর, নাটোরের বড়াইগ্রাম ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রথমে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চার কিশোর ও এক তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার দিন বাংলা নববর্ষ ছিল। এ উপলক্ষে অভিযুক্তরা গাঁজা সেবন ও আনন্দ–ফুর্তি করার প্রস্তুতি নেয়। তারা টাকা তুলে গাঁজা কেনে। এর মধ্যেই ভুক্তভোগী মেয়েশিশুটি গ্রামের একটি আমবাগানে আম কুড়াতে যায়। এ সময় মেয়েটি ওই কিশোরদের চোখে পড়ে। তারা মেয়েটিকে আমবাগান থেকে তুলে নিয়ে একটি কলাবাগানে যায়। সেখানে চারজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির অবস্থার অবনতি হলে কলাবাগান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ভুট্টাখেতে আনা হয়। সেখানে ওই তরুণ ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে গলা টিপে হত্যা ও মুখে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে দেন। এরপর সবাই পালিয়ে যায়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন