প্রতিনিধি রাজশাহী

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার নান্টু (বাঁয়ে) ও খোকন। আজ সকালে রাজশাহী র‍্যাবের সদর দপ্তরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ও তাঁর আরেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শুক্রবার নওগাঁ সদর থানার রামরায়পুর এলাকার আড়ারাপাড়া গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মামলার প্রধান আসামি রাজশাহী নগরের তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা মো. নান্টু (২৮) এবং তাঁর সহযোগী একই এলাকার বাসিন্দা খোকন মিয়া।

এর আগে গতকাল বিকেলে রুমেল (২৫) নামে নান্টুর আরেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল তিনে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের পরে সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নান্টু ও খোকনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজশাহী র‍্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন র‍্যাব-৫–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, ঘটনার পরই নান্টু ও খোকন একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে বুধবার রাতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা আকরাম আলীকে (৪৫) মারধর করা হয়। এ সময় মারধরের শিকার হন মেয়েটির ভাই মো. ইমাম হাসান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আকরাম মারা যান। বাসচালক আকরাম রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। তাঁর মেয়ে রাফিয়া আলফি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। বাবার লাশ রেখে গত বৃহস্পতিবার সে পরীক্ষায় বসে।

এ ঘটনায় আকরামের ছেলে হাসান ইমাম বৃহস্পতিবার নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার মো. নান্টু (২৮), মো. বিশাল (২৮), খোকন মিয়া (২৮), তাসিন হোসেন (২৫), মো. অমি (২০), মো. নাহিদ (২৫) ও মো. শিশির (২০)।