[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

কুয়েটে প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা, বাইরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি খুলনা

হল খুলে দেওয়ার দাবিতে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে তোলা ছবি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসে। এরপর সেখানেই আবার অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়েছে।

আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা গতকাল রোববার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এদিন দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাত আটটার মধ্যে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। পরে কুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রশাসনের কাছে আবেদনের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের পক্ষে আবেদন গ্রহণ করেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) অনুষদের ডিন রফিকুল ইসলাম।

১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটিও করা হয়েছে। ওই দিন রাতেই খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে প্রশাসন। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা করেছেন নগরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার হোচেন আলী নামের এক ব্যক্তি।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রেস ব্রিফিং করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘দুপুরে ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের দপ্তরের সহকারী পরিচালক স্যারের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, আজ সন্ধ্যা সাতটায় জরুরিভিত্তিতে সিন্ডিকেট মিটিং ডাকা হয়েছে। আমরা আশা করছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে; আজ রাতেই হল খুলে দেওয়ার নোটিশ আসবে। যেন আমরা আমাদের হলে আজকে রাতেই সুন্দরভাবে রাত যাপন করতে পারি। আমরা চাই না আর খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে এখানে অবস্থান করতে। আমাদের হল আমাদের জন্য খুলে দিক।’

সিন্ডিকেট সভা থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে বলে শিক্ষার্থীদের ব্রিফিংয়ে আশা প্রকাশ করা হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে পরবর্তী সময়ে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা প্রশাসন কোনোভাবেই যেন দলীয় স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন