‘মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পালিয়েছেন’ বলার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের হট্টগোল
প্রতিনিধি পাবনা
![]() |
| পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকারের বক্তব্যের প্রতিবাদে জানান মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাবনায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতার বক্তব্যর প্রতিবাদে ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে মুক্তিযোদ্ধারা এই হট্টগোল বাধান। পরে জেলা প্রশাসন দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ করতে বাধ্য হয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেলে শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা তিনটায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এ পর্বে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার তাঁর বক্তব্যর একপর্যায়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন’ এমন কথা বলায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ উত্তেজিত হতে শুরু করেন। তাঁরা ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে হট্টগোল করতে থাকেন। দুই থেকে তিন মিনিট হট্টগোল চলতে থাকলে বিএনপি নেতা মাসুদ খন্দকার মঞ্চ থেকে নেমে যান। এতে মুক্তিযোদ্ধারা শান্ত হন। পরে জেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ করে দেয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, বিএনপি নেতার বক্তব্যর সময় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ হইহুল্লোড় করেছেন। পরে মুক্তিযোদ্ধারাই তাঁদের শান্ত করেন।
তবে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাঁরা হট্টগোল করেছেন, তাঁরা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে তাঁরা রাজপথে ছিলেন। সুন্দর একটি অনুষ্ঠানকে নষ্ট করতেই তাঁরা এসেছিলেন। হট্টগোল করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’


Comments
Comments