প্রতিনিধি নরসিংদী

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার রাতে নরসিংদীর মাধবদীতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

নরসিংদীর মাধবদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অপর একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মাধবদী থানার শেখেরচর-বাবুরহাট হাটের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম মঞ্জু মিয়া (২২)। তিনি মাধবদী থানার পৌলাণপুর এলাকার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। আর গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম বখতিয়ার উদ্দিন। তিনি স্থানীয় মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতি দলের সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেরপাড়া ইউনিয়নে ডিশ, ইন্টারনেট ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের দুই নেতার মধ্যে বিরোধ চলছিল। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইফতেখার আলম (বাবলা)। সম্প্রতি শেখেরচর-বাবুরহাট পাইকারি কাপড়ের হাটে কয়েকটি বিট (দোকানঘর) দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য গতকাল রাতে সালিস বসার কথা ছিল। এর আগেই রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ থেকেই গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন ইফতেখার পক্ষের মঞ্জু ও বখতিয়ার। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাঁচদোনা এলাকায় পৌঁছালে মঞ্জু মারা যান।

নিহত মঞ্জু মিয়া | ছবি: সংগৃহীত

 পরে মঞ্জুর লাশ হাসপাতালে না নিয়ে শেখেরচর-বাবুরহাট বাসস্ট্যান্ডে নেওয়া হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মাধবদী থানা-পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আকরাম হোসেন ও ইফতেখার আলম বাবলার মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় এখনো নিহত তরুণের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ তাঁরা পাননি।