[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঈশ্বরদীতে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে এবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ । বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের ফটকের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: কলেজের টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত দাশুড়িয়া ডিগ্রি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে এবার বিক্ষোভ করল শিক্ষার্থীরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে জনপ্রতিনিধি, অভিভাবকসহ শিক্ষকেরও যোগ দেন। এরআগে বুধবার তাঁর পদত্যাগ ও কলেজ পরিচালনা কমিটি বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ও কলেজ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থী বলেন, বাইরে থেকে সবাই জানেন শহিদুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ। কিন্তু শুধু আমরা (শিক্ষার্থী) জানি, তিনি নানা সময়ে কলেজ থেকে কী পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

শিক্ষার্থী আরও বলেন, বিবিধ খাত, সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা, শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণসহ বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। সরকারি প্রকল্প খাতের টাকা কোনো কাজ না করিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন।

এ ছাড়াও বক্তব্য দেন দাশুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ক্যানেডি মালিথা। তিনি বলেন, 'দলীয় প্রভাব খাটিয়ে টাকার বিনিময়ে অধ্যক্ষের পদ বাগিয়ে নেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অপকর্ম করেই যাচ্ছে।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে, সাধারণ ছাত্র জনতাকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে বাধা সৃষ্টি করেন অধ্যক্ষ। এর সুস্পষ্ট ন্যায় বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঈশ্বরদীর পক্ষ থেকে বৈধ দাবি পেশ করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতরে আমাদের এই দাবি মেনে নিয়ে ন্যায়ের পক্ষে থাকার নিবেদন জানান।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঈশ্বরদীর সমন্বয়ক মুহিত মোস্তাকিম বলেন, 'সাধারণ ছাত্র জনতার এই বৈধ দাবি মেনে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন। আমাদের এই দাবি আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতরে না মানা হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরবর্তী পদক্ষেপ ও কলেজের সব কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হবো।'

শহিদুল ইসলামে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'এসব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা।'

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন