[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আর আলোচনা নয়, এখন যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন চায় হামাস

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ফিলিস্তিনি শিশুবিশেষজ্ঞ লোবনা আল-আজাইজা ইসরায়েলি হামলায় নিজের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি দেখছেন। গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহে, ১২ আগস্ট ২০২৪ | ছবি: রয়টার্স

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে নতুন করে আর আলোচনা নয়; বরং যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চায় হামাস। হামাসের এক কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নতুন করে আলোচনা শুরু হচ্ছে। এতে প্রতিনিধিদল পাঠাবে হামাস।

কিন্তু সিএনএনের এ দাবি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের এক নেতা। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘নতুন আলোচনার বিষয়ে আমরা এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়ে সবকিছু স্পষ্ট করে বলেছি। আমরা এখন নতুন আর কোনো আলোচনা চাই না। এরই মধ্যে যে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমরা সেটার বাস্তবায়ন চাই।’

গত রোববার রাতে এক বিবৃতিতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানায় হামাস। এতে বলা হয়, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গত ২ জুলাই যে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা হয়েছে, আমরা সেটার বাস্তবায়ন চাই।’

এদিকে আগামী বৃহস্পতিবারের শান্তি আলোচনা পরিকল্পনা অনুযায়ী হতে যাচ্ছে বলে সোমবার আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবারের আলোচনাকে কেন্দ্র করে কাতার, মিসর ও ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আজ মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের আলোচনায় প্রতিনিধিদল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

এ অবস্থায় আর আলোচনা না করে একটি কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাল হামাস।

যুদ্ধবিরতিকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি আলাপ-আলোচনার মধ্য ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আজ নবজাতকসহ আরও ১৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রায় ১০ মাসের যুদ্ধে গাজায় এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজারে পৌঁছাল। আহত হয়েছে প্রায় এক লাখ। অবরুদ্ধ উপত্যকাটি ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় সবাই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। চলছে সীমাহীন মানবিক সংকট।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালান। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। বন্দী করে গাজায় আনা হয় প্রায় আড়াই শ জনকে। এ ঘটনার পরপরই গাজায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন