[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নওগাঁয় তিন দিনব্যাপী মেলায় ১৪০ জাতের আম

প্রকাশঃ
অ+ অ-

বিভিন্ন জাতের আম মেলায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর মাঠে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি নওগাঁ: নওগাঁয় তিন দিনব্যাপী বাহারি নামের ও স্বতন্ত্র স্বাদের ১৪০ জাতের আমের মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেলার উদ্বোধন করা হয়। রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এ মেলার আয়োজন করেছে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা। এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। আলোচনা শেষে নওগাঁর সেরা পাঁচ আমচাষিকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মেলায় নওগাঁর বিখ্যাত নাক ফজলি ও আম্রপালি তো আছেই; সেই সঙ্গে আমেরিকান পালমার, লেডিজেন, অস্ট্রেলিয়ার অস্টিন, জাপানের মিয়াজাকি, থাইল্যান্ডের কিং অব চাকাপাত, ব্রুনাই কিং, ল্যাংড়া, বারি আম-৪, দশেরী, কালিয়াভোগ, বান্দিগৌড়, বৃন্দাবনী, মতি আম, চোষা, সোনামুখী, বুলবুলি, কুমড়া জালি, মহুয়া, সিন্দুরা, রাতারগুল, দুধস্বর, চুউ, রাধাসুন্দরী, জাদুভোগসহ দেশি-বিদেশি বাহারি নাম ও স্বতন্ত্র স্বাদের ১৪০ জাতের আম থরে থরে সাজানো হয়েছে, যা দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা।

মেলার স্টল ঘুরে বিভিন্ন জাতের আম দেখছিলেন স্থানীয় তরুণ আমিনুল ইসলাম। বাহারি নামের সব আম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এত দিন আমি আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলিসহ মাত্র ১০ থেকে ১২ প্রকার আমের নাম জানতাম। কিন্তু এত জাতের, আর এত চমৎকার ও বিচিত্র জাতের আম রয়েছে, এটা আমার ধারণা ছিল না। মেলায় এসে নওগাঁর আম সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম।’

মেলায় আসেন জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা ও গবেষক নওগাঁর মান্দায় অবস্থিত শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও কৃষি জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর শাহ। মেলা ঘুরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব উন্নত জাতের আমের চাহিদা রয়েছে, সেসব আম বর্তমানে নওগাঁয় ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। ধীরে ধীরে বিদেশের বাজারে নওগাঁর আমের চাহিদা বাড়ছে। অনেক কৃষি উদ্যোক্তা রপ্তানির উদ্দেশ্যে বর্তমানে উত্তম কৃষিচর্চা পদ্ধতি অনুসরণ করে উন্নত জাতের আম চাষ করছেন। কিন্তু সেভাবে এখনো তাঁরা বিদেশের বাজার ধরতে পারছেন না। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জোরদার করতে হবে। বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের আমের ব্র্যান্ডিং বাড়াতে হবে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নওগাঁ থেকে প্রথম ২০১৯ সালে বিদেশের বাজারের জন্য আম উৎপাদন করা হয়। গত বছর এ জেলা থেকে বিদেশের বাজারে আম রপ্তানি হয়েছে ২২১ মেট্রিক টন। এবার জেলা থেকে এক হাজার মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজার ছাড়া চীনেও আম রপ্তানির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির জন্য চীন সরকারের এক প্রতিনিধিদল নওগাঁর বিভিন্ন আমবাগান পরিদর্শন করে গেছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন