[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পাবনায় কলেজছাত্র হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশঃ
অ+ অ-

রায় ঘোষণার পর দণ্ড পাওয়া আসামিদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার সুজাগরে আবদুল গাফফার (২০) নামের এক কলেজছাত্রকে হত্যার দায়ে তিন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার মিনিদিয়ার চর গ্রামের মো. আজিম (৩৫), বাউসা গ্রামের মো. শহিদুল (২৮) ও ছাবেদ আলী (৩০)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামে ডাক্তার জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন আবদুল গাফফার। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট কলেজে ক্লাস চলাকালে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান তাঁর চাচাতো বোনের স্বামী মো. আজিম। পরিবারের লোকজন খোঁজ না পেয়ে পরদিন গাফফারের ফোনে কল দিলে অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, তাঁকে (আবদুল গাফফার) অপহরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

এ ঘটনায় গাফফারের ভাই শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে মো. আজিমকে আসামি করে মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আজিম অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে গাফফারকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। একই সঙ্গে লাশ যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা জানান আসামিরা।

পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর মো. আজিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। তাঁদের মধ্যে মো. রমজান আলী নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজন জীবিত আছেন। আদালত মামলাটির দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) দেওয়ান মজনুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন