সিংড়ায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগে কর্মচারীকে বরখাস্ত করলেন ইউএনও

নাটোর জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি নাটোর: এক শিশুকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের কর্মচারী রাসেল সরদারকে বরখাস্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার ছুটির দিনে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা ওই কর্মচারীকে বরখাস্ত করেন। শনিবার এ তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানাজানি হয়।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পরিষদের মাস্টাররোলের কর্মচারী রাসেল সরদার গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিংগইন বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে নিংগইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র (১২) আসছিল। এ সময় সে কিছু ধান কাটা শ্রমিকের রাস্তা দেখার জন্য টর্চলাইট জ্বালিয়ে রাখে। টর্চের আলো রাসেল সরদারের চোখে লাগলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে শিশুটিকে তিনি চড়, কিল–ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করেন। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে শিশুটির মা–বাবা সিংড়া থানায় এবং ইউএনওর কাছে আবেদন করেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইউএনও রাসেল সরদারকে বরখাস্ত করেন। একই সঙ্গে সিংড়া থানাও অভিযোগটি রেকর্ড করে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদালতকে জানানো হয়েছে।

ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, রাসেল সরদারকে করোনাকালে মাস্টাররোলে অতিরিক্ত কর্মচারী হিসেবে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সরকার তাঁকে নিয়োগ দেয়নি। তিনি একটি শিশুকে সামান্য ঘটনায় নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছেন। তাই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যরা যাতে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন, সে জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে।